এবারের কোরবানির ঈদে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সবচেয়ে বড় গরু কালো মানিক। গরুটির ওজন প্রায় ৪০ মণ। কালা মানিককে সাড়ে তিন লাখ টাকায় ক্রয় করে গত দুই বছর ধরে লালন-পালন করেছেন উপজেলার পাটওয়ারী বাজারের মায়ের দোয়া হালিমা ডেইরি ফার্মের মালিক সেন্টু মিয়া।
মালিকের দাবি, এটি জেলার সবচেয়ে বড় গরু। তাকে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে চাঁদপুরে 'বিক্রি না করতে পারলে নারায়ণগঞ্জে 'বিক্রি করা হবে।
অ'স্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান ক্রস জাতের গরুটি লম্বায় ১০ ফুট, উচ্চতায় প্রায় ৮ ফুট। গরুটি বিশাল হওয়ায় প্রতিদিন লোকজন তাকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ভিড় করছে। গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ লাখ টাকা।
দুই বছর আগে খামা'রি সেন্টু মিয়া কালা মানিককে তার মায়ের দোয়া হালিমা ডেইরি ফার্মে সংগ্রহ করে আনেন। এরপর থেকে কালা মানিককে দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করছেন। এছাড়াও সেন্টু মিয়ার খামা'রে প্রায় ৯০টি গরু রয়েছে। এবারের ঈদে 'বিক্রির জন্য ৩০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।
গরু
সেন্টু মিয়া বলেন, গরুটি দেখতে কালো, তাই নাম রেখেছি ‘কালা মানিক’। সে খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দ'প্ত রের পরামর'্শক্রমে কোনো প্রকার ক্ষ'তিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। গরুটি কেউ কিনতে চাইলে আমর'া তার গন্তব্যে পৌঁছে দেব।
এছাড়াও সেন্টু মিয়ার খামা'রে আগামী বছরের কোরবানি ঈদে 'বিক্রির জন্য হিরা মানিক ও কালা চাঁন নামে দুটি বড় ষাঁড় প্রস্তুত করা হচ্ছে।
কালা মানিককে দেখাশুনা করেন মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, এই গরুটি আমা'দের অনেক আদরের। আমা'রা কালা মানিককে দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করেছি। চাঁদপুরে 'বিক্রি করতে না পারলে কালা মানিককে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার হাঠে নিয়ে যাব'।
কালা মানিকের মালিক মো. সেন্টু মিয়া বলেন, আমি চাচ্ছি কালা মানিককে চাঁদপুরে 'বিক্রি করতে। গরুটির পেছনে আমা'র প্রায় ১০-১১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সামান্য লাভ হলেই কালা মানিককে 'বিক্রি করে দিব।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ট্রেনিং অফিসার ডা. জুলহাস আহমেদ জানান, জেলার চাহিদা অনুযায়ী পশুর ব্যবস্থা রয়েছে। খামা'রিরা আশা করি এ বছর পশুর ভালো দাম পাবেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, জেলায় কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৭০ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। এ জন্য জেলায় দুই শতাধিক পশু কেনাবেচার জন্য হাট বসানো হচ্ছে।
Leave a Reply