শিহাব শাহীনের ওয়েব সিরিজ ‘সি’ন্ডিকেট’। দুনিয়ার অনেক বিখ্যাত সিনেমায় পরিচালককে পাসিং শটে দেখা গেছে, এখানেও দেখা গেলো। বসলাম সময় নিয়ে। একটা ব্যাংকের ভেতরের ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশের প্রায় অনেক সেক্টরের গল্পের ইশারা দিয়ে সিরিজের জার্নি শুরু হলো। গল্পে কী কী আছে, সেসব আলাপে না গিয়ে আমা'র কেন এত ভালো লাগলো, কী কী ভালো লাগলো সেসব লিখতে বসেছি।
3941
২০০৭ সালে ‘ইট কাঠের খাঁচা’ নামের ধা'রাবাহিক নাটক থেকে আমি শিহাব শাহীনের যেকোনো নির্মাণ যত্ন নিয়ে দেখার চে'ষ্টা করি। কারণ, গল্পগু'লো ধীরে এগোয়, তারপর আরও ধীরে সেই গল্পে থিতু করে দেয়। ফলে ‘ইট কাঠের খাঁচা’ থেকে তার নির্মাণ নিয়ে সাধারণ এবং সচেতন দর্শক হিসেবে আমা'রও যাত্রা শুরু হয় আস্তে-ধীরেই।
47491
যদিও তার বেশ আগে ‘রমিজের আয়না’ দেখেছিলাম। তবে টেলিভিশনের সামনে বসে নাটক দেখার সেই আনন্দের দিন কবেই শেষ হয়ে গেছে। যাহোক, সেই পুরনো মুগ্ধতা থেকে তার ওয়েব সিরিজ ‘সি’ন্ডিকেট’ দেখতে বসলাম।
নিশো আমা'দের সন্তান। আমর'া এক মাটি-জল-নদী-হাওয়ার মানুষ। তার প্রতি বরাবর একটা ভিন্ন আগ্রহ থাকে আমা'দের। নির্মাতা তাকে এই সিরিজে ভেঙ্গেচুরে উপস্থাপন করেছেন। অ্যাসপারগার সিনড্রোম রোগী চরিত্রে নিশোকে এভাবে পাওয়া যাব'ে, এটা বিরাট চমক। দিন দিন নিশো কতটা অ'সামান্য অ'ভিনেতা হয়ে উঠছে, সি’ন্ডিকে'টে তার প্রমাণ পাওয়া গেলো।
35
এই রোগে ভুগতে থাকা লোকজন সাধারণত প্র'ত্যাশিত সামাজিক আচরণ করতে পারে না। সেই অ'স্বাভা'বিক চরিত্রে নিশো ছিল অনবদ্য। তার লুকটাও নির্মাতা বদলে দিয়েছেন, আর নিশো ঢেলে দিয়েছে নিজেকে শতভাগ মনোযোগে।
রাশেদ মামুন অ’পু। আমা'র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই। আমা'র আপন ভাইদের একজন। তাকেও আমি নড়চড়ে বসে দেখি। দেখতে ভালো লাগে। গর্ব হয়। সি’ন্ডিকে'টে অ’পু ছিল খাঁটি বদমাশ। এই চরিত্রে তার 'বিকল্প ভাবাটা কল্পনাই করতে পারছি না। বিশেষ করে তার সংসারে মনোযোগী ও বোকাসোকা স্ত্রীর সাথে তার অ'ভিনয় বিপুল মুগ্ধ করেছে।
বরাবর শতাব্দী ওয়াদুদ আমা'দের প্রায় সকলের পছন্দের সামনের কাতারের অ'ভিনেতা। সমাজের উঁচু শ্রেণীর মানুষের লাম্পট্য এভাবে ঠাণ্ডা মাথায় সামনে নিয়ে আসাটা তিনি দেখিয়েছেন দারুণ মুন্সিয়ানায়।
Leave a Reply