আজ ১৯ জুন বাবা দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্র অ'ভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদীন দীঘি তার বাবা অ'ভিনেতা সুব্রতকে নিয়ে বললেন চ্যানেল আই অনলাইনে। দীঘির সঙ্গে আলাপের প্রধান অংশটুকু পাঠকদের জন্য তুলে ধ’রা হলো :
দীঘির বাবা
আমা'র বাবা আমা'র বেস্ট ফ্রেন্ড। তার সঙ্গে যে কোন সময় যে কোন কিছু আমি অনায়াসে শেয়ার করতে পারি। বাবা মেয়ের এমন সম্পর্ক দুর্লভ। কারণ সন্তানরা বাবাদের একটু ভয় পায়। আমা'র পরিচিত অনেক ছেলেমেয়ে আছে, যারা বাবাদের ভিতর থেকে ভয় পায়। সামনেও কম যায়। কিন্তু আমা'র ব্যাপারটা ঠিক উল্টো। উনি আমা'র সবচেয়ে আপন বন্ধু।
বাবার তার জীবন আমা'র জন্য বিসর্জন দিয়েছেন। মা অ'সুস্থ হওয়ার পর থেকে বাবা সবসময় মাকে টেককেয়ার করতেন। তখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি। আমাকে স্কুলে আনা নেয়া, ভাইয়াকে দেখাশোনাসহ মায়ের হাসপাতালে চিকিৎসা, নিজের শুটিং সবকিছু তিনি একাই সামাল দিয়েছেন। মা চলে যাওয়ার পর বাবা মায়ের অনুপস্থিতি একটি বারও বুঝতে দেননি।
তাই যিনি আমা'র বাবা, তিনিই আমা'র মা। এখনও মনে পড়ে মা হাসপাতালে থাকাকালীন উনি আমাকে ঘু'ম থেকে তুলে তৈরি করে টিফিন বানিয়ে স্কুলে নিয়ে যেতেন। আমা'র চুল বেঁধে দিতেন। মাঝেমাঝে আমাকে নিয়ে শুটিংয়ে যেতেন, বেড়াতে নিয়ে যেতেন। মা অ'সুস্থ পরার থেকে শুয়ে থাকা ছাড়া কিছু করতে পারতেন না। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি দেখেছি বাবা কতটা তৎপর ছিলেন।
অনেক সুযোগ থাকলেও বাবা আমা'দের ভালো ভবি'ষ্যতের কথা ভেবে কখনই নিজের চিন্তা করেন নাই। বরং আমা'দের ভালোটা বেশি ভেবেছেন। এজন্য আমি মনে করি, আমা'র ও আমা'র ভাইয়ের জন্য বাবা তার নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। আমা'র জীবনের সব দায়িত্ব বাবার। বাবা হিসেবে আমা'র বাবার ভালো গু'ণগু'লো বলে শেষ করতে পারবো না।
একসঙ্গে ৩ সন্তান জন্ম, নাম রাখা হলো স্বপ্ন-পদ্মা-সেতু
তবে যেটা সবচেয়ে বেশি আমি ফিল করি সেটা হচ্ছে বাবা দায়িত্ববান। শুধু আমি নই, যে কেউ যদি তাকে কিছু করতে বলেন, বাবা তার সামর'্থ্যের মধ্যে থাকলে সেটা দায়িত্ব নিয়ে করে দেন। যতক্ষণ শেষ না হয় লেগে থাকে। আমর'া দুটি ভাই বোন। বাবা হিসেবে উনি আমা'দের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। এটা বাবা হিসেবে আমি বলবো তার মহৎ গু'ণ।
Leave a Reply