২৪ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হ'ত্যার ঘটনায় আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতলকে গ্রে'ফতার করেছে র্যাব'। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গু'লশানের বাসা থেকে তাকে গ্রে'ফতার করা হয়।
র্যাব'ের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আশীষ রায় চৌধুরী নায়ক সোহেল চৌধুরী হ'ত্যা মাম'লার অ'ভিযোগপত্রভুক্ত ১ নম্বর আ'সামি। তিনি একাধিক বেসরকারি এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন পদে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি জিএমজি এয়ারলাইনসের প্রধান পরিচালন কর্মক'র্তা (সিওও) ছিলেন।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গু'লি করে হ'ত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গু'লশান থা'নায় মাম'লা করেন। সোহেল চৌধুরী নি'হত হওয়ার পরপরই এই হ'ত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্ম'দ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অ'ভিযোগ ওঠে।
মাম'লায় অ'ভিযোগ করা হয়, হ'ত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্ম'দ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কা'টাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হ'ত্যা করা হয়।
আরো পড়ুন> ২৪ বছর পর সোহেল চৌধুরী হ'ত্যার প্রধান আ'সামি যেভাবে র্যাব'ের জালে
ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চে'ষ্টা করেন। এ সময় ভেতরে ঢুকতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চে'ষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গু'লি চালান। আ'সামিদের মধ্যে আদনান খু'নের পরপরই ধ’রা পড়েছিলেন।
আজিজ মোহাম্ম'দ ভাইসহ নয়জনের বিরু'দ্ধে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আ'দালতে অ'ভিযোগপত্র দেন।
২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ অ'ভিযোগ গঠন করেন। অ'ভিযোগ গঠনের পর আ'সামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করেন এবং এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্র'ত্যাহার করে রায় দেন।
গত ২৪ মা'র্চ এ মাম'লায় আ'দালতে হাজিরা দেন জামিনে থাকা আ'সামি ফারুক আব্বাসী। জামিনে থাকা অ’পর আ'সামি আদনান সিদ্দিকীর পক্ষ থেকে হাজিরার জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করেন আ'দালত।
এছাড়া কারা'গারে থাকা আ'সামি তারিক সাঈদ মামুনকে আ'দালতে হাজির করা হয়। তবে পলাতক রয়েছেন আ'সামি আজিজ মোহাম্ম'দ ভাই, সানজিদুল হাসান, সেলিম খান ও হারুন অর র'শিদ। তাদের বিরু'দ্ধে ইতিমধ্যে গ্রে'ফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে নামের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন সোহেল চৌধুরী। ওই একই প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন তার স্ত্রী দিতিও।
Leave a Reply