থাব্যথা থেকে শুরু করে শরীরের কোথাও ব্যথা হলে মুঠো মুঠো পেইন কিলার খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এই অভ্যাসের কারণে অজান্তে মা'রাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন আবার কেউ কেউ।
অনেকেরই ধারণা নেই যে, অতিরিক্ত পেইন কিলার শরীরের গু'রুত্বপূর্ণ সব অঙ্গে কতটা ক্ষ'তিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন পেইন কিলার খেলে লিভারের সমস্যা, কিডনি ফেইলিওর এমনকি গ'র্ভপাত পর্যন্তও 'হতে পারে।
ডাইক্লোফেনাক, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেনজাতীয় ব্যথা'নাশ'ক ওষুধ খাওয়ার ফলে বদহজম, পেট ব্যথা, গ্যাসট্রাইটিস, র'ক্তপাতসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই চিকিৎসকের পরামর'্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো। পেইন কিলার মুহূর্তেই স্বস্তি দিলে এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া শরীরের জন্য 'হতে পারে বিপজ্জনক। জেনে নিন ব্যথা'নাশ'ক ওষুধ শরীরের কী কী ক্ষ'তি করে-
>> প্যারাসিটামল লিভারের বেশি ক্ষ'তি করে। এ কারণে প্যারাসিটামল পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। দৈনিক ৮টি প্যারাসিটামল ট্যাব'লেট (৫০০ মিলিগ্রাম) খেলে লিভারের গু'রুতর ক্ষ'তি 'হতে পারে। তাই জ্বর-ঠান্ডা, শরীর ব্যথা যাই হোক না কেন, চিকিৎসকের পরামর'্শ নিয়ে তবেই প্যারাসিটামল খান।
>> আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন কিংবা ন্যাপ্রোক্সেনজাতীয় পেইনকিলার গ্রহণের ফলে পেটে ব্যথা, জ্বা'লা ও অন্যান্য ক্ষ'তি 'হতে পারে।
এমনকি ব্যথা'নাশ'ক ওষুধ গ্রহণের কারণে পেটে আলসারও 'হতে পারে। যাদের আগে থেকেই আলসার আছে, তাদের র'ক্তপাত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
>> যারা ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ গ্রহণ করেন তারা চিকিৎসকের পরামর'্শ ছাড়া মোটেও ব্যথা'নাশ'ক ওষুধ খাবেন না। তাহলে ডিপ্রেশনের ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাব'।
>> উচ্চ র'ক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আ'ক্রা'ন্ত ব্যক্তিরা আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোক্সেনের মতো ব্যথা'নাশ'ক ওষুধ খেলে কিডনির মা'রাত্মক ক্ষ'তি 'হতে পারে।
এর থেকে কিডনি ফেলিওর বা ড্যামেজও 'হতে পারে। যারা এরই মধ্যে কিডনির রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেশি।
>> পেইন কিলার গ্রহণের ফলে কারও কারও গ'র্ভপাতও 'হতে পারে। গ'র্ভাবস্থার প্রথম ২০ স'প্ত াহে যদি কেউ ব্যথা'নাশ'ক ওষুধ ব্যবহার করেন, তাদের গ'র্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, পেইন কিলার ওষুধগু'লো হরমোনের কার্যকারিতায় হস্ত'ক্ষেপ করে। তাই গ'র্ভাবস্থায় যে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর'্শ নিতে হবে।
>> অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন ও নেপ্রোক্সেনের মতো পেইন কিলার র'ক্ত পাতলা করে। যারা র'ক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণ করেন, তাদের ব্যথা'নাশ'ক ওষুধ মএড়িয়ে চলা উচিত।
>> গবেষণায় দেখা গেছে, ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রা'গস (এনএসএআইডিএস) হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যারা এই ওষুধগু'লো দীর্ঘদিন ব্যবহার করেন, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০-৫০ শতাংশ বেড়ে যায়।
তাই সামান্য ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পেইন কিলার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর'্শ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণ করবেন না।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
Leave a Reply