হঠাৎ করেই বরিশালের বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে। খোলা বাজারে দুইদিন ধরে মিলছে না সয়াবিন তেল। মূল্য বৃ'দ্ধির আশায় বরিশালে সয়াবিন তেল 'বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্ত'ক্ষেপ চান ভোক্তারা। এদিকে তদারকি জোরদার করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ব্যারেল প্রতি ২ থেকে ৫ হাজার টাকা বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ করেছেন খোলা সয়াবিন তেল 'বিক্রি। বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ না থাকার কথা জানিয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে খোলা তেলের দাম এক থেকে ২ হাজার টাকা বেশি। বেশি দামে কিনে বেশি দামে 'বিক্রি করতে হচ্ছে। কোম্পানি তেল দেয় না। ১০ কার্টন তেল চাইলে আমা'দের দুই কার্টন তেল দেয়।
এদিকে পাইকারি 'বিক্রেতাদের দাবি, ২০০ লিটার সয়াবিন তেলের ব্যারেলের দাম এক স'প্ত াহ আগে ২৮ হাজার টাকা থাকলেও এখন ৩৩ হাজার টাকা। কোম্পানিকে অগ্রিম টাকা দিয়েও তেল না পাওয়ার দাবি পাইকারদের। এ বি'ষয়ে মেসার্স মোল্লা ব্রাদার্সের পাইকারি তেলের 'বিক্রেতা মো. শুকুর আলী মোল্লা বলেন, সিটি মিল পণ্য দিচ্ছে। তবে তা পেতে এক মাস সময় লাগছে।
অ’পরদিকে রমজানের একমাসে আগেই বরিশালে সয়াবিন তেল উধাও হওয়াতে কপালে ভাঁজ পড়েছে ভোক্তাদের। দ্রব্য মূল্য সি’ন্ডিকে'টের কবলে পড়ছে মনে করে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্রেতাদের।
দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষ'মতার বাইরে চলে যাওযার অ'ভিযোগ করে ক্রেতারা বলেন, এ রকম দফায় দফায় তেল বা যেকোনো জিনিসের দাম যদি অহেতুক বাড়ে, অযৌ'ক্তিকভাবে বাড়ে, তাহলে সেটা অবশ্যই আমা'দের জন্য অ'সহনীয়। অ'স্বাভা'বিকভাবে দাম বাড়ার কারণে আমর'া আগে যে পরিমাণ কিনতাম, তার তুলনায় কম কিনতে হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন বলেছে, তদারকি আরও জোরদার করে দ্রুতই বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
এ বি'ষয়ে বরিশালের ভারপ্রা'প্ত জেলা প্রশাসক মো. শ’হীদুল ইসলাম বলেন, কেউ যদি কৃত্রিম সংকট সৃ'ষ্টি করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে চায়, তাহলে আমর'া সরেজমিনে সে বি'ষয়টি যাচাই বাছাই করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
গত দুইদিন ধরে বরিশালে খোলা বাজারে সয়াবিন তেল উধাও হলেও, এখনও প্রশাসনের দৃশ্যমান পদ'ক্ষেপ দেখা যায়নি।
Leave a Reply